বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক
দিল্লিতে হারের বৃত্ত ভেঙেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বহুল প্রত্যাশিত জয়টি এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এদিন সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয় এলেও সেটি নিয়ে আলোচনা কমই। আলোচনায় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হওয়া ঐতিহাসিক টাইমড আউট নিয়ে। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম টাইমড আউটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ড্রেসিংরুমে পাঠানো অধিনায়ক সাকিব। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তীব্র সমালোচনার স্বীকার হচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টাইমড আউটের ঘটনাটি ঘটেছে। নতুন ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ টাইমড আউটের শিকার হয়েছেন। লঙ্কান ব্যাটার নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে প্রবেশ করলেও বলের মুখোমুখি হতে দেরি করায় তাকে আউট দিয়েছেন আম্পায়ার। যদিও সাকিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আম্পায়াররা এমন সিদ্ধান্ত দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এই নিয়ে সাকিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে যুদ্ধ এসেছি, এখানে আমাদের জিততেই হবে। ম্যাথুজ আমাকে রিকুয়েস্ট করেছিল আমি বুঝিয়ে বলেছি যে আমার কিছু করার নেই।’
সাকিবের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য বিস্তর সমালোচনা করেছেন ম্যাথুজ। ম্যাচের পর সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের কাছে আমি অনুরোধ করেছিলাম সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে, সে করেনি। অন্য কোন দেশ হলে এমনটা করতো না। এটা সাকিব ও বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। যদি ওরা এভাবেই খেলতে চায় এবং এত নিচে নামে, আমার মনে হয় ওদের কোথাও একটা বড় ঝামেলা আছে।’
ম্যাচ শেষে সবার আগে গণমাধ্যমে হাজির হন সাকিব। সেখানে ম্যাথুজের আউটের প্রশ্নটাই ছিল সবার আগে। পুরো সংবাদ সম্মেলন জুড়েই ছিল এসব প্রশ্ন। সাকিবও সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন। ম্যাথুজকে আউট করে কোনও দুঃখ প্রকাশ করার ইচ্ছে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সাকিব বলেছেন, ‘কোনও দুঃখ নেই।’ ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে জানতে চাইলে সোজাসাপ্টা বলেছেন, ‘তাহলে আইসিসির উচিত আইনটা দেখা এবং নিয়ম পরিবর্তন করা।’
ম্যাথুজের জায়গায় আপনি থাকলে কী করতেন সেই প্রশ্ন সাকিব বলেছেন, ‘আমি হলে সতর্ক থাকতাম, যেন এটা আমার সঙ্গে না হয়।’
আম্পায়ার ম্যাথুজকে আউট দেওয়ার পর সাকিবের সঙ্গে তাকে কথা বলতে দেখা গেছে। মাঠে দুজনের ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে সেই কথাও বললেন সাকিব, ‘‘আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে ২০০৬ সাল থেকে খেলছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও প্রচুর খেলেছি। আমি তাকে খুব ভালোভাবে চিনি। সেও আমাকে খুব ভালোভাবে চেনে। সে আমাকে এসে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি আবেদন তুলে নেবো কিনা? আমি জানিয়েছি, ‘আমি তোমার পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। এটা আনফরচুনেট। কিন্তু আমি চাই না।’’